দুই ছাত্র আইসিইউতে, হাসপাতালে শত ছাত্রের আর্তনাদ
দুই ছাত্র আইসিইউতে, হাসপাতালে শত ছাত্রের আর্তনাদ
আইসিইউতে দুই শিক্ষার্থী
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র নাইমুর রহমান। শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়ে নগরের ন্যাশনাল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি তিনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরেক ছাত্র নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া পলাশ নামে এক ছাত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এই তিনজন গুরুতর জখম হলেও অন্য আহতদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন প্রক্টর মোহাম্মদ তানভীর হায়দার আরিফ।
আহতদের আর্তনাদ
শনিবার মধ্যরাত থেকেই আহতদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসতে থাকে হাসপাতালে। যেসব শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার তাদের পাঠাতে থাকে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে। শনিবার রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অন্তত ৩৫ শিক্ষার্থী। গতকাল সন্ধ্যায় এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় শতকের ঘর। দুদিনে শুধু এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নেন ১১৫ জন। এর মধ্যে ২২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন।
আরও পড়ুনঃ চবিতে শিক্ষার্থী-স্থানীয়রা কেন বারবার সংঘর্ষে জড়ায়
এদিকে নগরের পার্ক ভিউ হাসপাতালে গতকাল ২৪ জনকে ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে নগরীর ন্যাশানাল হাসপাতালেও। সেখানে আইসিইউতে আছেন এক ছাত্র।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছাত্র তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটে ছিলাম। তখন আমাদের গ্রামবাসী ধাওয়া দেয়। যাঁকে সামনে পেয়েছে, তাঁকেই লাঠি, রড, গাছ দিয়ে মারধর করেছে। তাদের হামলায় আমার মাথা ফেটেছে, হাত ভেঙেছে।’ ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রামবাসীর অনেকে রামদা দিয়ে ছাত্রদের কুপিয়েছে। তাদের ইটের আঘাতে আমার মাথা ফেটেছে। বাঁ চোখে আঘাত পেয়েছি। চোখ ফুলে গেছে। এখন ঝাপসা দেখছি।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ‘হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা ছাত্রদের কারও হাত ভেঙেছে, কারও মাথা ফেটেছে। কয়েকজনের জখম গুরুতর।’
Comments
Post a Comment