কুবি শিক্ষার্থী বাসে ধর্ষণচেষ্টা-ছিনতাইয়ের শিকার, দুই অভিযুক্তের কারাদণ্ড
কুবি শিক্ষার্থী বাসে ধর্ষণচেষ্টা-ছিনতাইয়ের শিকার, দুই অভিযুক্তের কারাদণ্ড
সর্বশেষ
EN
জাতীয়
রাজনীতি
রাজধানী
দেশজুড়ে
অর্থনীতি
আন্তর্জাতিক
বিনোদন
খেলা
লাইফস্টাইল
আইন-বিচার
চাকরি
বিজ্ঞান
সোশ্যাল মিডিয়া
ধর্ম
আবহাওয়া
তথ্যপ্রযুক্তি
শিক্ষা
স্বাস্থ্য
মুক্তমত
প্রবাস
মিডিয়া
শিল্প-সাহিত্য
ইউটিউব
শেয়ারবাজার
ফিচার
ক্যাম্পাস
কুবি শিক্ষার্থী বাসে ধর্ষণচেষ্টা-ছিনতাইয়ের শিকার, দুই অভিযুক্তের কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার (কুমিল্লা), আরটিভি নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫ , ০৯:৪০ পিএম
শেয়ার করুন:
ছবি: আরটিভি
বিজ্ঞাপন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী চট্টগ্রামগামী লোকাল সেন্টমার্টিন পরিবহণের বাসে ধর্ষণচেষ্টা ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এ সময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ফেলে দেয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের মধ্যে দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
আটক হওয়া অভিযুক্ত দুইজনের একজনের নাম মো. আলী হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরুড়া। অন্যজন হলেন মোহাম্মদ আলী। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ।
বিজ্ঞাপন
Pause
Mute
Loaded: 98.31%
Remaining Time -1:12
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, তিনি আলেখারচর থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন বাসে উঠেন। এ সময় বাসে কোনো যাত্রী না থাকায় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড যাওয়ার পথে গাড়িতে থাকা হেলপার ও তার সহযোগী আরও দুইজন তার হাত-পা বাঁধে এবং তার গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর বাঁধার মুখে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় হেলপার ও তার সহযোগীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাস থেকে একজনকে পড়ে যেতে দেখে তারা বাস আটকান। এ সময় গাড়িতে থাকা ৫ জন থেকে তিনজন পালিয়ে যায়। বাকি দুইজনকে আটক করে রাখেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এলে অভিযুক্তদের মারধর করা হয়। স্থানীয়রা পুলিশকে কল দিলে তারা এসে ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নিয়ে বিচার করতে চান- এমনটা বললে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা জানান, ভুক্তভোগীর কল পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসেন এবং অভিযুক্তদের বিচার চান। তবে পুলিশ প্রশাসন সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে না পারায় তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় অভিযুক্তদের বহনকারী পুলিশের গাড়িও শিক্ষার্থীরা আটকে রাখেন। পরে সেন্টমার্টিন পরিবহণের দুইটি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক করে রাখেন তারা।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে রাস্তার দুইদিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন। আলোচনার পর অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চয়তার আশ্বাস পেয়ো শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে।
Comments
Post a Comment